
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ছে শীত–কুয়াশার দাপট, আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সরকার
বিশেষ প্রতিনিধি,
উত্তরের সীমান্ত উপজেলা ভূরুঙ্গামারীতে ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের দাপট। নভেম্বরের শেষ প্রহরেই তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভোর থেকে বইছে হিমেল হাওয়া, বাড়ছে কুয়াশার ঘনত্ব। বিশেষ করে ভোর ও রাতের শেষ ভাগে শীতের উপস্থিতি এখন স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ভূরুঙ্গামারীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনে কুয়াশা ও শীত আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভূরুঙ্গামারীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়—
ফসলি জমি ও ঘাসের ডগায় জমে আছে শিশিরবিন্দু। দিনে সূর্যের দেখা মিলছে না সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে শীতের অনুভূতি তীব্র হয়ে উঠছে। মধ্যরাতের পর হিমেল হাওয়ার প্রভাব আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে ৩ নং তিলাই ইউনিয়নের তিলাই মোড় নামক এলাকায় দেখা যায় ঠান্ডা নিবারণের জন্য রাস্তার পাশে আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে এলাকার লোকজন।
অটোচালক মোঃ আব্দুর আজিজ মুন্সী বলেন
“ভোরে গাড়ি নিয়ে বের হলে হাত-পা জমে আসে। কুয়াশা এতটাই থাকে যে এখন লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলতে হচ্ছে।”
আরেক বাসিন্দা মোঃ বগদুল ইসলাম জানান,
“সকালে হাঁটতে বের হলে বেশ ঠান্ডা লাগে। কুয়াশাও অনেক বেড়েছে। প্রতিবছরই আমরা আগেভাগে শীত পাই। এ বছরও শীত পুরোপুরি নেমে এসেছে।”
“আজ ভোরে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এখন প্রতিদিনই কুয়াশা পড়ছে। সামনে কুয়াশা ও শীত আরও বাড়বে বলে ধারণা করছি।”
শীতের সাথে তাল মিলিয়ে ভূরুঙ্গামারীর মানুষজন এখন থেকেই শীতবস্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কৃষিজমিতে পড়তে থাকা শিশির ফসলের জন্য ভালো হলেও ভোরের ঘন কুয়াশা যাতায়াতে কিছুটা ভোগান্তি তৈরি করছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসহায় ও নিম্নআয়ের মানুষের কষ্টও বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।