
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত সেনা সদস্য মমিনুল ইসলামের (৩৬) কে কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিজবাড়ির স্থানীয় কবরস্থানে সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে নিহত সেনা সদস্য মমিনুলের মরদেহ নিয়ে উলিপুর হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্স যোগে মরদেহ উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের পারুলেরপাড় গ্রামের নিজ বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে বিকেল সাড়ে তিনটায় সামরিক মর্যাদায় স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মমিনুল ইসলামের নামাজে জানাজা সেনাবাহিনীর কুড়িগ্রাম ক্যাম্পের মেজর মো. ইনজামামুল আলম, ক্যাপ্টেন রাফসান, চিলমারী ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন তাহসীন তামীম, তাসফিন উল হক, উলিপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম মেহেদী হাসান, উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাঈদ ইবনে সিদ্দিক সহ সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ, সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এরআগে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে সোয়া নয়টার দিকে মমিনুলসহ নিহত শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত শান্তিরক্ষী মমিনুল ইসলাম ওই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। তার বাবা-মা ও ভাই ছাড়াও স্ত্রী মুন্নী আক্তার ও দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে মাইশা আক্তার মীম সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছেন। ছোট মেয়ে মারিয়া আক্তারের বয়স মাত্র ৪ বছর।
স্থানীয়রা জানান, মমিনুল অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার মানুষের সাথে সু-সম্পর্ক ছিল তার। শহীদি মৃত্যু হয়েছে মমিনুলের। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তাকে যেন জান্নাত দান করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সংঘটিত বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি আরও নয়জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে (লেভেল–৩) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তারা সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।