কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে মেধাবী, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সময়নিষ্ঠ শিক্ষার্থী গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে ‘মাকসুদা আজিজ’ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাকসুদা আজিজ লাইব্রেরির পৃষ্ঠপোষকতায় ও মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটির বাস্তবায়নে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুটি গ্রুপে ভূরুঙ্গামারী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষার সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটি প্রেজেন্টস ‘মাকসুদা আজিজ’ বৃত্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম কিরণ, সদস্য সচিব মতিয়ার রহমান মুরাদ, হল সুপার স্বপন মাহমুদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নাহিদ হাসান প্রিন্সসহ স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।
এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটির স্বপ্নদ্রষ্টা রোটারিয়ান অধ্যাপক ডা. মেফতাউল ইসলাম মিলন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশিকুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, ভূরুঙ্গামারী পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম নাছিমুল হক, তিলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেনসহ আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষক প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আয়োজকরা জানান, এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু একাডেমিক যোগ্যতাই নয়, আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায় ও সময়ের মূল্যবোধকে আরও দৃঢ়ভাবে ধারণ করার সুযোগ পাবে।
বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মাধ্যমিক ও সমমানের স্কুল-মাদ্রাসার ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এ পরীক্ষায় মেধা ও ফলাফলের ভিত্তিতে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হবে।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থানাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনন্যা এবং দৃষ্টি প্লাস কিশোলয় বিদ্যা নিকেতনের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শর্মিলা জাহান সায়মা জানান, প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরে তারা আনন্দিত। পরীক্ষাও ভালো হয়েছে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
অভিভাবক আব্দুল আলিম ও আজিজুর রহমান আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে এমন উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতেও এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এ বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনে সহযোগিতা করেন ভূরুঙ্গামারী উন্নয়ন সোসাইটি, সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদ, আলোক বর্তিকা, আলোর-দিশারী আন্ধারীঝাড়, গ্রীন ভয়েস ভূরুঙ্গামারী, উপজেলা যুব প্ল্যাটফর্ম, ভূরুঙ্গামারী ডিবেটিং ক্লাব ও উত্তরণ ছাত্র কল্যাণ সংস্থা।