
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ ৫ দফা দাবি এবং গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয় নিশ্চিত করতে রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে জামায়াত সহ ৮ দল। আগামী ৩ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ২ ঘটিকায় রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ময়দানে উক্ত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে ৮ দলের শীর্ষ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াত কার্যালয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যাপক আজিজুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে জেলার ৮ দলের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে সর্বসম্মতিক্রমে ৮ দলের ৮ সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয় এবং সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে ১ ডিসেম্বর’২৫। রংপুরের মহাসমাবেশে সর্বস্তরের জনসাধারণ ও জনশক্তিদেরকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিজ নিজ দলীয় দায়িত্বশীলদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কুড়িগ্রামে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা নিজাম উদ্দিন কে সমন্বয়ক ও অন্যান্য দলের সেক্রেটারিবৃন্দকে সদস্য করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট লিয়াজোঁ কমিটি গঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন- কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন , ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি জনাব শাহজাহান মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা সহ সভাপতি মুফতী নূরুদ্দীন কাসেমী, খেলাফত মজলিস জেলা সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মু. শাহজালাল সবুজ, মাওলানা আব্দুল হামিদ মিয়া, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য জনাব আলতাফ হোসেন, জহুরুল ইসলাম ও শহর আব্দুস সবুর খান, সদর আমীর শামছুল হুদা মিঠু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা নুর বখত মিয়া, মাওলানা আব্দুস সালাম, জেলা ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মোঃ মোজাম্মেল হক, খেলাফত মজলিসের জেলা সেক্রেটারি মোঃ নূরুজ্জামান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মোঃ সহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য নূর মোহাম্মদ প্রমুখ ।
যৌথসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন- জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে ৮ দল। ইতোমধ্যে সরকার আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়েছে। তবে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি গণভোট নির্বাচনের আগে করার দাবি ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি জানিয়ে আসছি। মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশে তাদের দাবির আংশিক পূরণ হয়েছে। তবে জুলাই হত্যাকাণ্ডে অন্য অপরাধীদের বিচার, স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবিগুলো এখনো পূরণ হয়নি। ৫ দফা দাবি পূরণে ৮ দলের যুগপৎ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।