
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ভূরুঙ্গামারী পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হলো এক প্রাণবন্ত ও শিক্ষামূলক কুইজ প্রতিযোগিতা। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা, মানসিক বিকাশ এবং পাঠ্যবইয়ের বাইরে জ্ঞান সম্প্রসারণে উৎসাহিত করতেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম জোবায়ের।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মোঃ আল মামুন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামিক মূল্যবোধ, চরিত্রগঠন, সমাজসচেতনতা এবং পাঠ্যজ্ঞান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বক্তৃতায় তারা বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান নয়, বরং নৈতিক শিক্ষা, প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা ও সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জন জরুরি। এ ধরণের কুইজ প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, স্মৃতিশক্তি, এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
কুইজ প্রতিযোগিতাটি কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, ইসলামিক জ্ঞান এবং সমসাময়িক বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সেটে প্রশ্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহ, মনোযোগ এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
শেষপর্যায়ে ফলাফল ঘোষণা করা হলে মোট ৩০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং সভাপতি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার এবং সনদ তুলে দেন।
প্রধান অতিথি মোঃ আরিফুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। তাই জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি নৈতিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরণের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মননশীলতা বৃদ্ধি করে এবং তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে সহায়তা করে।”
সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম জোবায়ের তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অধ্যয়ন, সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং পরিবার-সমাজ-দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “জ্ঞানই মানবজাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যারা জ্ঞানের পথে এগিয়ে যায়, তারাই সফলতা অর্জন করে।”
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান শেষে অতিথি ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা ও মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে আয়োজনটির সমাপ্তি ঘটে।