নিজস্ব প্রতিবেদক, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন প্রতিপক্ষের ওপর হামলার চেষ্টার অভিযোগে লুৎফর রহমান (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে দুটি ধারালো দেশীয় অস্ত্র (হাসুয়া) উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শুক্রবার কচাকাটা থানার দক্ষিণ সরকারটারী গ্রামে আব্দুল করিম ও আমির হোসেনের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ অবস্থায় শনিবার দুপুরে জহুর আলীর ছেলে লুৎফর রহমান হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসাধীন এক প্রতিপক্ষের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে দুটি হাসুয়া জব্দ করে।
তবে অভিযুক্ত লুৎফর রহমান দাবি করেন, তিনি হাসপাতালে গিয়ে নিজের পক্ষের আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন। সেসময় প্রতিপক্ষের লোকজনই তাকে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, “হাসপাতালের ভেতরে একজন যুবকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। পরে তাকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।”
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে আটককৃত লুৎফর রহমানকে কুড়িগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।