নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধনের মাধ্যমে ডিজিটাল ভোটিংয়ের দাবি জানিয়েছেন এক সচেতন নাগরিক। প্ল্যাকার্ড হাতে তিনি জানান, ঘরে বসে নিরাপদে ও গোপনীয়তা বজায় রেখে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা উচিত।
বুধবার (২৫ জুন) কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাসিন্দা মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে মাইদুল ইসলাম এই দাবি জানান। তিনি বলেন, “ভোট দেওয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু অনেকেই দূরত্ব, কর্মজীবন, সময়সংকট ও নিরাপত্তাজনিত কারণে এই ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।”
তিনি মনে করেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নির্বাচন কমিশনের উচিত একটি ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা, যাতে প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারেন এবং ভোটার উপস্থিতি ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় ৯ মাস আগে তিনি ডিজিটাল ভোটিং নিয়ে একটি ভিডিওর মাধ্যমে প্রস্তাব তুলে ধরেন এবং আজ সরাসরি রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তার প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভোট দেওয়া যাবে মোবাইল অ্যাপ কিংবা *১০৫# ডায়াল করে। এতে ব্যালট পেপার, ইভিএম, কেন্দ্র বা পোলিং অফিসারের প্রয়োজন হবে না। এনআইডি-সংযুক্ত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একজন ভোটার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র একটি ডিভাইস থেকে ভোট দিতে পারবেন।
প্রবাসীরা পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন নিয়মিত ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবে, যাতে কারাবন্দি বা মৃত ব্যক্তিদের তথ্য সিস্টেম থেকে ব্লক থাকে।
তার মতে, প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, ফলে নির্বাচনী ব্যয়ও অনেক কমে আসবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকবে মোবাইল কোর্ট ও হেল্পলাইন।
ভোটারদের উৎসাহ দিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা সম্মানী দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে, যার সম্ভাব্য ব্যয় মাত্র ৩৯০ থেকে ৬৫০ কোটি টাকার মধ্যে হতে পারে।
তিনি বলেন, “আমরা আর কেন্দ্রে গিয়ে ঝুঁকি নিতে চাই না। আমরা চাই ঘরে বসে, গোপনে, নিরাপদে ভোট দিতে।” এই প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতমুখী, অংশগ্রহণমূলক ও নির্ভেজাল গণতন্ত্রের পথ হিসেবে দেখছেন।
তিনি তার দাবির পক্ষে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন একটি ভিডিওতেও এবং সেটি সংশ্লিষ্টদের বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছেন।
🔗 ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/3RxYosca2fk?si=xAu3saxlirO82UI-